প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কার্যকরী! যদি একটু নিয়ম করে দেশীয় উপাদান যেমন নিম, ঘৃতকুমারী, হলুদ, নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়, তাহলে সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক আর চুল পেতে পারেন। চলুন জেনে নিই, কীভাবে প্রকৃতির এসব উপাদান রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়।
অকৃত্রিম ফেসওয়াশ:
একটি ভালো ফেসওয়াশ ত্বকের ময়লা দূর করবে কিন্তু ত্বককে শুষ্ক করবে না। নিম, ঘৃতকুমারী, মধু, হলুদ—এগুলো সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ত্বককে সতেজ ও কোমল রাখে। সরাসরি প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা না গেলেও, ফেসওয়াশে মিশ্রিত অবস্থায় এই উপাদানগুলো খুবই উপকারী হয়। মুখ ধোয়ার সময় আলতোভাবে মালিশ করে এক মিনিট অপেক্ষা করুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ফেসওয়াশের পুরো উপকারিতা পাবেন।
নারকেল ময়েশ্চারাইজার:
নারকেল তেল ও দুধ শুষ্ক ত্বক এবং রুক্ষ চুলের জন্য অসাধারণ। শুষ্ক ত্বকের জন্য নারকেল দুধ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে নারকেল তেল বা দুধ ব্যবহার না করাই ভালো। শরীরের ত্বকে, বিশেষ করে হাত-পায়ে, নারকেল সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করলে চমৎকার ফলাফল পাবেন।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান:
চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজের রস বেশ কার্যকর, তবে সরাসরি চুলে লাগানো ঠিক নয়। নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন। বাজারে পাওয়া পেঁয়াজের তেলও ভালো বিকল্প। এ ছাড়াও, মেথি, নিমপাতা, আমলকী ইত্যাদি মিশ্রিত তেল চুলের জন্য দারুণ উপকারী।
প্রাকৃতিক সাবান ও বডিওয়াশ:
প্রতিদিনের গোসলের জন্য কম ক্ষারযুক্ত প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ সাবান বা বডিওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক শুষ্ক হবে না। ঘৃতকুমারীর রসযুক্ত বডিওয়াশ শরীরের ত্বককে রাখে কোমল ও আর্দ্র।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে নিয়মিত রূপচর্চায় ত্বক ও চুল উজ্জ্বল এবং সুস্থ থাকবে, আর সৌন্দর্য থাকবে সতেজ ও প্রাণবন্ত।