যেকোনো অনুষ্ঠানেই আমরা সাজগোজ নিয়ে অনেক উৎসাহী থাকি। কিন্ত আমরা অনেকেই স্কিন কেয়ার নিয়ে খুব বেশি উদাসিন।একটি মিনিমাম স্কিন কেয়ার রুটিন কিন্তু একটি ইনভেস্টমেন্টের মত।যা ফলো করলে ভবিষ্যতে আপনার স্কিন হবে গ্লোয়িং, হেলদি এবং স্মুথ। আবার অনেক ভালো স্কিন ও যদি ঠিকভাবে যত্ন নেয়া না হয়, তবে দেখা দেয় নানা রকমের সমস্যা। তাইত শত কাজের মাঝেও স্কিন কেয়ার করার জন্য কিছু সময় বের করে নিতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখার ৭ টি টিপস
১. আপনি জেনে অবাক হবেন যে স্কিনে এজিং এর ৮০ ভাগই হয়ে থাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে। এজন্য সান্সক্রিন ব্যাবহারের কোনো বিকল্প নেই। ভাল ফল পেতে সান্সক্রিন ২ ঘন্টা পর পর রিএপ্লাই কোরতে হবে। এবং এসপিএফ ৩০+ যেকোন ভাল মানের সান্সক্রিন ব্যাবহার করতে হবে।
২.স্কিন উজ্জ্বল, দাগহীন, ব্রাইট রাখতে ভিটামিন সি এর ভূমিকা অপিসীম তাই স্কিন কেয়ার রুটিনে ভিটামিন সি সেরাম অবশ্যই যুক্ত করা। উচিত। এছাড়াও নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাাবার খেলে শরীরের অনেক উপকার রয়েছে।
আরো পড়ুন: মেকআপ হবে মাত্র ১০ মিনিটে!
৩.রেটিনল হল ভিটামিন এ-এর একটি রূপ, যা স্কিন কেয়ার পণ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বককে মসৃণ করতে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। রেটিনল মৃত ত্বক কোষ সরিয়ে নতুন ত্বক কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। এটি বিশেষ করে বয়সের ছাপ ও ব্রণ চিকিৎসার জন্য জনপ্রিয়। তবে, এটি অনেক সময় ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে, তাই এটি অল্প পরিমাণে শুরু করা এবং সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে একদিন রেটিনল ব্যবহার করতে পারেন।
৪. মাসে অন্তত ১ বার করে সব মােকআপ ব্রাশ ভালো ভাবে ধুতে হবে।এবং প্রতি সপ্তাহে বালিশের কভার পরিবর্তন করতে হবে।
৫. সারাদিন ক্লান্ত হয়ে অনেক সময় হয়তো আমাদের কোন স্কিন কেয়ার করার ইচ্ছা থাকেন। কিন্ত নিয়মিত একটি নাইট স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো না করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। যেমন,ক্লগ্ড পোরস,ব্রণ, ফুসকুড়ি, ইত্যাদি।
৭.বছরে ১ বার হলেও একজন ডারমাটোলজিস্ট এর পরামর্শ নিতে হবে।
৬. একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সুস্থ ত্বক রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যা খাই তা সরাসরি আমাদের ত্বকের চেহারা, গঠন এবং সামগ্রিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। একটি সুষম খাদ্য থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি ত্বকের মেরামত, আর্দ্রতা এবং পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষায় সাহায্য করে। যেমন,
পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন এ, সি, এবং ই এবং জিঙ্কের মতো খনিজসমৃদ্ধ খাবার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। সাইট্রাস ফল এবং শাকসবজিতে পাওয়া ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা হ্রাস করে। বাদাম এবং বীজে পাওয়া ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। মিষ্টি আলু এবং গাজরে পাওয়া ভিটামিন এ ত্বকের মেরামত ও পুনর্জন্মে সাহায্য করে।
হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অপরিহার্য। সঠিক হাইড্রেশন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, সূক্ষ্ম রেখার উপস্থিতি হ্রাস করে এবং শুষ্কতা ও খসখসে ভাব প্রতিরোধ করে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চর্বিযুক্ত মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোটে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভাল রাখত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাওয়া খেতে হবে।